• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দ্রুত গতিতে চলছে পদ্মাসেতুর কাজ, সোয়া দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৯  

দ্রুত গতিতে চলছে পদ্মাসেতুর কাজ। সেতুর জাজিরা প্রান্তে ২৩-২৪ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসল পদ্মাসেতুর ১৫তম স্প্যান ‘৪-ই’। ফলে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘৪-ই’ স্প্যান বসানোর পর দৃশ্যমান হল সেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মাসেতুর সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির।

গত ১৪ অক্টোবর সোমবার স্প্যানটি জাজিরার চর থেকে ২৩-২৪ নম্বর পিলারের কাছে নেয়ার জন্য রওনা দেয়। গত বুধবার বা বৃহস্পতিবার স্প্যানটি বসানো হতে পারে বলে পদ্মাসেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছিলেন। 

‘৪-ই’ স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর ৪১ টি স্প্যানের মধ্যে ১৫ টি স্প্যান বসানো হল। তবে, এরমধ্যে মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানো আছে। জাজিরা প্রান্তে ১১ টি স্প্যানের মোট ১৬৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের তিনটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৬০০ মিটার মিলিয়ে সেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হল। 

প্রায় চার মাস পর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হল। এর আগে ১৪তম স্প্যান বসানো হয়েছিল গত ২৯ জুন। 

এ ব্যাপারে প্রকৌশলীরা জানান, বর্ষাকালে পদ্মায় প্রচুর পলি আসে। পলি জমে চ্যানেল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাই, স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নাব্য সংকটের কারনে চলতে পারে না। তাই স্প্যান বসানোর সিডিউল এভাবে নির্ধারণ করা হয়। ‘৪-ই’ স্প্যান ছাড়াও মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আরো ৫ টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিলারের কাছে রাখা আছে। এখন নিয়মিতভাবে আবার পিলারে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে।

জানা গেছে, সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।

আরো জানা যায়, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য ২৯৫৯ টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাব প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে ২৮৯১ টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি স্ল্যাব আগামী নভেম্বরে তৈরি শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ৩৬১টি। অন্যদিকে, ২৯১৭টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেকস্ল্যাবের মধ্যে ১৫৫৩ টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫৪টি স্থাপন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, নদী শাসনের বাস্তব কাজের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। নদী শাসন কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা; যার মধ্যে ৪ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।